Monday, August 28, 2017

মিয়ানমারের তৈরি করা "রিজিওনাল আনরেস্ট" রুখতে ১৯৭১ আমাদের যে শিক্ষাটি দেয়

বাংলাদেশ এবং ভারত ঐতিহাসিকভাবে ভূরাজনৈতিক দিক থেকে আবারও একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে।

ভারত যেমন অনৈতিকভাবে চীন এর সামরিক চাপে হেনস্তা হচ্ছে ডোকলাম-ডংলাং এরিয়াতে, বাংলাদেশ ঠিক তেমনিভাবে প্রতিনিয়ত মানবিকতার বিপর্যয় দেখছে মিয়ানমার থেকে নাফ নদীতে ভেসে আসা শত শত লাশে এবং মিয়ানমার কর্তৃক প্রতিনিয়ত সবধরনের আন্তর্জাতিক আইনগুলোকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর মাঝে।
মজার ব্যাপার, চীন যেমন ডোকলাম-ডংলাং এ নিজেদের বিজয় হয়েছে বলে দাবি করছে (১), মিয়ানমারও ঠিক একইভাবে যেভাবেই হোক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে সদা-সচেষ্ট। দেশ দুটি এর মাঝে আচরণগত মিল হলো- "জোর যার মুল্লুক তার"। কোনভাবে দেশ দুটি ভুলে গিয়েছে এটা একবিংশ শতাব্দী, জাতিসংঘ সেই ২০১৬ থেকে বলে আসছে মিয়ানমার সেখানে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব পুরোপুরি শেষ করে দেবার জন্য হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে (২)।

এর মাঝে রোহিঙ্গাদের জাতীয়তাবাদী এবং ন্যুনতম মানবিক অধিকার নিশ্চিত করবার লড়াইকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করে অং-সান-সু-কি এবং তার লেলিয়ে দেয়া সামরিক বাহীনি একে "সন্ত্রাসী-জঙ্গি ম্যুভমেন্ট" নামে চালিয়ে দিতে তৎপর। এটা খুব স্বাভাবিকও বটে। বাংলাদেশ যখন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষণা করে, ঠিক তখন পাকিরাও একইভাবে বাংলাদেশি মুক্তিবাহীনিকে সন্ত্রাসী বাহীনি বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলো (৩)। সেই সময়, বাংলাদেশের পাশে এইধরণের কন্সপাইরেসি আর প্রোপাগান্ডা রুখতে ভারত ও রাশিয়া খুব শক্তভাবেই দাঁড়িয়েছিল।

বিশ্ব রাজনৈতিক পরিসরে, চীন, মিয়ানমার, এবং পাকিস্তান- এই তিন রাষ্ট্র বড় ভাই আর ছোট ভাই হিসেবেই পরিচিত।

বাংলাদেশ-ভারত এই পরিস্থিতিতে এখন কি করা উচিত তা আমরা ১৯৭১ থেকে ধার করে আবারও শিখে নিতে পারি!


~ #ইহাল

No comments:

Post a Comment