১০ম সাধারণ নির্বাচনে ১৫৩ আসনে আগেই বিনা
প্রতিদ্বন্দিতায় সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায়, ভোট দেবার ক্ষমতা
পূর্বেই হারিয়েছিলেন ৫২% ভোটার (১)।
এরপর যখন নির্বাচন ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়, তখন আসলে ভোট প্রদান করার ক্ষমতা ছিল বাংলাদেশের (১০০- ৫২)%= ৪৮%
ভোটারের।
তখন দেখা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে
দাবি করা হলো এবং পরবর্তীতে দেখা গেলো নির্বাচন কমিশন সেক্রেটারিয়েটের মাধ্যমে যে
৪০.৫৬% ভোট পড়েছে (২)।
কিন্তু আদতে এই সংখ্যাটিকে অনেকে খুব বাড়িয়ে বলা
বলেছেন এবং এখনো বলছেন। অন্যদিকে, ইলেকশন ওয়ার্কিং
গ্রুপের (ই ডব্লিউ জি) পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায় যে, নির্বাচনে
ভোটার উপস্থিতি ছিল ৩০.১%- ৩১.১%। (৩, ৪)
তো এখন কথা হলো, যদি শেষেরটাকেই ধরে নেই যুক্তিযুক্ত, তবে দেখা
যাচ্ছে আদতে বাংলাদেশের যে ৪৮% ভোটার এবারের নির্বাচনে তাদের ভোট প্রদান করবার
ক্ষমতা রাখতো তাদেরকে পূর্ণ অংশ (=১০০%) ধরলে, এদের মাঝে ভোট দিয়েছে মাত্র ৩০.১% ভোটার।
তো এখান থেকে খুব সহজে বের করে নেয়া যাচ্ছে
সত্যিকার অর্থে এবারের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ঠিক কতো শতাংশ ভোটারের ভোটে বর্তমান
সংসদ গঠন হতে যাচ্ছে। হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, ১০ম জাতীয়
নির্বাচনে বাংলাদেশের সকল ভোটাধিকার দেয়ার ক্ষমতা রাখেন তাদের মধ্যকার মাত্র
১৪.৪৪৮% মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সাংসদরা এবারের সংসদ গঠন করতে যাচ্ছেন।
এটা আসলেই একটা ভয়াবহ খবর। আওয়ামীলীগের জন্য তো
আরও বেশি, কারণ এই ১৪.৪৪৮% ভোটের মাঝেরই একটা অংশ তারা
পেয়েছে, পুরোটা তো আর পায়নি। অন্যদিকে, এর মাঝেও রয়েছে ভোট জালিয়াতি, একজনে অনেকগুলো
ভোট প্রদান করবার বিষয়, অনেকে তো জালভোট দিয়ে সগৌরবে
ফেইসবুকেও ফটো আপলোড দিয়েছিল।
কথা হলো যে, এই মাত্র ১৪.৪৪৮%
ছাড়া বাকি প্রতিটা মানুষই বর্তমান সংসদ তথা আওয়ামীলীগের উপর চরমভাবে ক্ষ্যাপা
থাকবে, যে কোন মূহুর্তে এরা যে কোন ধরনের নাশকতা করে বসতে
পারে, আর এই একই সংখ্যা জানিয়ে দিচ্ছে আওয়ামীলীগ নিজে
থেকেই জনগণের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন করে নিয়েছে। এই জনমানুষ বিচ্ছিন্নতা তাদেরকে
ভালই ভোগাবে আগামী দিনগুলো, এমন কি ফেলে দিতে পারে ভয়াবহ
কোন পরিস্থিতেও। এখন শুধু দেশটা রক্ষা পেলেই হয়!
সূত্রঃ
১) http://thebengalitimes.com/details.php?pub_no=193&menu_id=1&val=9517
(একই খবর ডয়েচে ওয়েলে- তেও আছে, কিন্তু
লিংক খুব বেশি বড় বিধায় এখানে ব্যাবহার করলাম না।)
No comments:
Post a Comment