Monday, June 2, 2014

মুখস্থবিদ্যা এবং...

মাস্টার্সে এসেও মুখস্ত করতে করতে হয়! সিলেবাসের ধরন, পরীক্ষার ধরন ঐরকম বলেই এমন অবস্থা।

চিন্তা করছি, পরীক্ষা শেষে কুর্‌আনে হিফজ্‌ করে ফেলবো। এতো এতো বছরে যতো জাগতিক জিনিস মাথায় ঢুকাইছি, তার চেয়ে বড়জোড় ২- ৩ বছর কঠোর পরিশ্রম করলে পরে পরকালে জান্নাতে যাবার জন্য অন্তত অনেকটা পথই পাড়ি দেয়া যাবে।

হুদাই ব্রেইনটার ১২ টা বাজাইতাছি এইসব একেকজনের দেয়া 'মডেল' পইড়া (সত্যিকার অর্থে মুখস্থ কইরা), যে মডেল মাত্র একটা স্পেসিফিক সিচ্যুয়েশন ছাড়া কাজ করে না, তারচেয়ে বরং সার্বজনীন আর পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যাবস্থা নিয়ে ভাবা উচিত।

পরীক্ষার ধরন এমন হওয়া উচিত যে, একেকটা মডেল পড়ে ছাত্ররা পড়ে কি বুঝলো তা যাচাই করা। এমন বহু ছাত্র আছে, 'মডেল' এর পর 'মডেল' মুখস্থ করে রেখে দিয়েছে আসন্ন প্রশ্নসহ, কিন্তু অর্থনীতির মাস্টার্সের একজন ছাত্রকে একবার সিম্পলি জিজ্ঞেস করুন, Search and Matching Model পড়ে সে বুঝলোটা কি, অথবা এটাকে কোথায় সে প্রয়োগ করতে পারে কোন problem কে solution করবার জন্য।

মনে হয়না, কেউ পারবে এর উত্তর দিতে।

স্কুল জীবনে থাকতে প্রতিটা বাংলা ১ম পত্র বইয়ের সবগুলা কবিতা মুখস্থ করা হতো, অথচ কাউকে জিজ্ঞেস করেন যে ক্লাস ফাইভে পড়া বাংলা কবিতাগুলো সম্পূর্ণ আবৃত্তি করা লাগবে না, শুধুমাত্র কবিতাগুলো নাম লিখতে বলুন, আমি ভাল করেই জানি, কেউ-ই তা পারবে না। তাহলে কি লাভ ছিল, এরকম মুখস্থ করবার? বরং তা বুঝে হৃদয়ে- মস্তিষ্কে ধারণ করলেই ব্যাপারটা কাজে দিতো মোরালিটি উন্নত করার জায়গায়।

এভাবে মুখস্থ চর্চার সম্পূর্ণবিরোধী আমি, এগুলো আসলে কোন কাজের নয়, কি স্কুল, কি কলেজ, কি ভার্সিটি, সব জায়গা থেকে মুখস্থ করবার ধারা পুরোপুরিভাবেই তুলে দেয়া উচিত।

মুখস্থ যদি করতেই হয়, নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ মুখস্থ করা উচিত, মানুষের এইসব অকেজো আর নশ্বর জিনিস মুখস্থ করে কি হবে?

No comments:

Post a Comment